সিরিজ জয় দিয়ে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের ২০২৪ সাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। সিরিজের শেষ ম্যাচে লিটন দাসের দল জিতেছে ২৭ রানের ব্যবধান
|  | 
| ছবি-বিসিবি। | 
১২৯ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও প্রথম ২ ওভারেই ১৯ রান নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারররা। ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচার তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে একই ওভারে ফেরেন সাজঘরে। দুই অঙ্কে পা রাখা জনসন চার্লসও বিদায় নিলে একেবারে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং ইউনিট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে জয় তরান্বিত করেন বাংলাদেশের বোলাররা।
তবে সপ্তম উইকেটে বাধা হয়ে দাঁড়ান রস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। একপর্যায়ে দলকে জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন দুজনে। তবে রিশাদ পরপর দুই বলে চেজ ও মোটিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে ৩২ রান করা চেজই ছিলেন স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষপর্যন্ত ১০২ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
এর আগে কিংসটাউনে ক্যারিবীয় অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উইকেটে সেট হতে গিয়ে ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস, দলীয় ৮ রানে; তৃতীয় ওভারে।
রান দুই অঙ্কে পা রাখতেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিমও (৪ বলে ২)। সৌম্য সরকারও সুবিধা করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে ২৮ রানের জুটি গড়ে থামেন ১৮ বলে ১১ রান করে। দলীয় রান ৫২-র মধ্যে মিরাজ ২৫ বলে ২৬ ও রিশাদ হোসেন ৪ বলে ৫ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ।
চাপের মুখে ২০ বলে ২১ রান করেন জাকের আলী অনিক। আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন। ৮৮ রানে ৭ম উইকেট হারানোর পর তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তার ব্যাটে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।
শামীমের কল্যাণে শেষ ২৩ বলে ৪১ রান জড়ো করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব ১১ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর শামীম ইনিংসের শেষ অবধি টিকে থেকে ১৭ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান দুটি করে চার-ছক্কা। দুজনের জুটি ছিল অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।
 
 
 
 

 
 
 
Social Plugin