বিপিএলে রেকর্ড বইয়ে দিলেন লিটন-তানজিদ তামিম
ক্রীড়া ডেস্ক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়াটা যেন তাতিয়ে দিয়েছে লিটন দাসকে। বাংলাদেশ দলে সুযোগ না পাওয়ার সেই হতাশাই যেন ঝাড়লেন দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর।
সিলেটে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়ে লিটন খেললেন বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি। বিপিএলে তো অবশ্যই নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে শরিফুল ইসলামকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছেন ৪৪ বলে। তবে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করেও মুখে হাসি নাই ৩০ বছর বয়সী ব্যাটারের।
বিপিএলে বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন লিটন। সবমিলিয়ে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১০টি। তার আগে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিম। দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ও তানজিদ তামিম। ‘ছোট’ তামিম দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি আজই করলেন।
শুধু ব্যক্তিগত রেকর্ডই গড়েননি লিটন-তানজিদ তামিম। দলীয় রেকর্ডও গড়েছেন দুজনে। বিপিএলের সর্বোচ্চ ২৪১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন তারা। অবশ্য শুধু ওপেনিংয়ে নয়, যেকোনো জুটিতেই। ওপেনিংয়ে আগের ১৯৭ রানের অপরাজিত রেকর্ডটি ছিল শাহরিয়ার নাফিস ও লুই ভিনসেন্টের, ২০১৩ সালে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের হয়ে। আর সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ২০১ রানের অপরাজিত জুটিটি ছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলের, ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে।
শুধু জুটির রেকর্ডই গড়েননি লিটন-তানজিদ। বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরও গড়েছেন তারা। ১ উইকেটে ২৫৪ রানের স্কোরটি এখন বিপিএলের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২৩৯ রান। যৌথভাবে রেকর্ডটি ছিল রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের।
তানজিদ তামিমের বিপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসটি থেমেছে ১০৮ রানে। ৬৪ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৮ ছক্কায়। আর ১২৫ রানে লিটন থাকেন অপরাজিত। ২২৭.২৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১০ চার ও ৯ ছক্কায়।

Social Plugin