Ticker

6/recent/ticker-posts

 নিরাপত্তা সংকট, রাষ্ট্রীয় অবহেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন



কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত অপহরণ, ডাকাতি, মানবপাচার এবং মুক্তিপণ আদায়ের মতো নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণে। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, কক্সবাজার জেলা কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে যুব ও গণঅধিকার পরিষদসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ এর উপস্থিতিতে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন যে, রোহিঙ্গাদের দুষ্কৃতিকারী কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণের জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের ফলে কক্সবাজার ও টেকনাফসহ আশপাশের এলাকাগুলোর সাধারণ জনগণ চরম আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।


মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, "রোহিঙ্গাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধে সরকারের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায়, স্থানীয়দের জীবন এখন অনিশ্চিত।" তারা আরো বলেন, "রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সীমান্ত নিরাপত্তা সুরক্ষা ও অপহরণসহ সকল অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।"


মানববন্ধনে বক্তারা নিম্নলিখিত দাবি উত্থাপন করেন:


  • ১. রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ: অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি এবং মানবপাচারের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ২. নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি: টেকনাফসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  • ৩. স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতা: স্থানীয় জনগণের মধ্যে অপরাধ প্রতিরোধের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকার ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তোলা।
  • ৪. অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা: অপহরণকারীদের শনাক্তকরণ ও দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা।
  • ৫. প্রযুক্তির ব্যবহার: অবৈধ কর্মকাণ্ড সনাক্ত করতে প্রযুক্তি, যেমন ড্রোন নজরদারি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।


কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মাহমুদ বললেন, টেকনাফে যা হচ্ছে তা সরকার নাগরিকের সাথে মশকরা করছে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফে সেনা ঘাঁটি স্হাপন করতে হবে৷ 



ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ইউসুপ নূরী বলেন, যারা বিগত সময় আওয়ামী সরকারের চামচামি করেছে তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়৷ যারা ২০১৪,  ২০১৮ ও ২০২৪ এর ডামি নির্বাচনল সরকারকে সহযোগিতা করেছে সেসব আমলাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বিঘাত হবে এইটাই স্বাভাবিক৷ 


এ সময় বক্তারা আরো জানান, যদি সরকার ৭ দিনের মধ্যে এই দাবিগুলোর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।