টেকনাফে অপহরণের শিকার ৬ জন উদ্ধার, আটক ২

নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আটকরা হল, টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার মোহাম্মদ ছৈয়দ ওরফে ছৈয়দ মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার (৪০) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ইতলী এলাকার মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী পারভীনা আক্তার ওরফে পারভীন (২৮)।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং চারজন রোহিঙ্গা নাগরিক। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন মেয়ে শিশু ও দুইজন ছেলে শিশু রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকায় জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে কয়েকজন লোককে জিন্মি করে মুক্তিপণ আদায় চেষ্টার খবর পায় পুলিশ। পরে বড়ইতলী জামে মসজিদের বিপরীত পাশে সন্দেহজনক জনৈক মাহমুদুল হাসানের বসত ঘরটি অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘিরে ফেলে। এতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয় সন্দেহজনক ৫/৬ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
“ পরে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে বসত ঘরটির একটি কক্ষে জিন্মি অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা টেকনাফ উপজেলার এবং রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। “
উদ্ধার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ওসি বলেন, “ আটকরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। চক্রের সদস্যরা সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ২/৩ দিন আগে অপহৃতদের বাড়ীটিতে নিয়ে আসে। পরে তাদের জিন্মি করে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল। “
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

Social Plugin